বিশেষ প্রতিনিধিঃ
তাহসিন, বয়স তিন। সামান্য জ্বর নিয়ে তার মা তাকে নিয়ে যান স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে। চিকিৎসক তাকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ সেবনের জন্য দেন। অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ সেবনের একদিন পরই তাহসিনের দাঁতের মাড়ি ফুলে রক্ত পড়া শুরু করে। পরে রেজিস্ট্রারকৃত ডাক্তার দেখানোর পর জানা যাaq অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধের পাশ্বক্রিয়ায় এ ধরনের সমস্যা হয়েছে। ডাক্তার তাকে দ্রুত শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানোর জন্য বলেন। তাহসিনকে নিয়ে ভোলা সদরে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানোর পর ডাক্তার জানায় যে কোন রোগের জন্য তাকে অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ানোয় পাশ্বক্রিয়ায় এ সমস্যা হয়েছে। ডাক্তার জানায়, এমন সমস্যা শুধু সাময়িক নয়। এ ধরনের সমস্যা দীর্ঘ মেয়াদি এবং জটিল হয়। এক রোগের জন্য ঔষধ সেবন করালে অন্য রোগ দেখা দিবে। ঠিকই তা-ই হয়েছে তাহসিনের ক্ষেত্রে। দাঁতের সমস্যা ভাল হলেও এখন সমস্যা দেখা দিয়েছে পেটের নাভির স্থানে।
তাহসিনের মা এখন তাকে এক ডাক্তার থেকে আরেক ডাক্তারের কাছে দৌড়াচ্ছেন। ভোলা- বরিশালের অনেক ডাক্তার দেখিয়েও সমাধান পাচ্ছেন না তাহসিনের শারীরিক সমস্যার। সকল ডাক্তারের একই কথা অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধের পাশ্বক্রিয়ায় সৃষ্ট সমস্যার সমাধান কঠিন।
শুধু শিশু তাহসিন নয়। তাহসিনের মত অনেক শিশু কিশোর ও বয়স্ক লোক অ্যান্টিবায়োটেক ওষুধের পাশ্বক্রিয়ার শারীরিক নানান সমস্যা নিয়ে জীবনযাপন করছে। চরফ্যাশনের মফস্বল বাজারের বিভিন্ন ফার্মেসিতে গিয়ে দেখা যায়, ফার্মেসির দোকানদারেরা সামান্য জ্বর সর্দি কাশির সমস্যার জন্য রোগীকে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধে দিচ্ছেন। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা জানান, অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধের গায়ে বড় অক্ষরে লেখা থাকে অ্যান্টিবায়োটিক। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যাতিত অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়াতে বারণ থাকলেও এ বিধান রোগী ফার্মাসিস্ট কেউ মানছেন না। কথায় কথায় ফার্মাসিস্টরা মানুষকে অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ দিচ্ছেন। যা মোটেও কাম্য নয়।