মো. নুর উল্লাহ আরিফ :
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবুল বাশার চরফ্যাশনের জিন্নাগড় ইউনিয়নের বাসিন্দা। গত দেড় মাস পূর্বে পরিবারসহ ঢাকায় মেয়ের বাসায় বেড়াতে যান। যাওয়ার সময় বাসার ফ্রিজ, টিভি,ফ্যান বাতিসহ সব ধরনের বৈদ্যুতিক ডিভাইস যন্ত্র বন্ধ করে যান। এমনকি বিদ্যুতের মেইন সুইচও বন্ধ করে যান। গত তিনদিন আগে বাসায় এসে দেখেন তার নামে আসা বিদ্যুৎ বিল ৭০০/- টাকা। একমাসে এক ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার না করেও কীভাবে তার নামে আসা বিদ্যুৎ বিল ৭০০ টাকা হলো তা দেখে তিনি অবাক বনে যান। তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ বিভাগের মিটার রিডারদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা কোন উত্তর দিতে পারে নি।এমন শত শত অভিযোগ দৈনিক উপকূল বার্তাকে কাছে করছেন চরফ্যাশনের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা। তারা জানান গতমাসে ( জুন) বিদ্যুৎবিল এসেছে। এমাসে (জুলাই) তার ডাবল বা কয়েক গুণ বেশি বিদ্যুৎ বিল এসেছে। এমন অভিযোগের সাথে তারা চরম ক্ষোভও প্রকাশ করেছে। চরফ্যাশনের কয়েকটি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের দোকানে দেখা গেছে বিদ্যুৎ বিল দিতে আসা গ্রাহকেরা দোকানীর ওপর প্রচণ্ড রাগ ঝারছেন। দোকানী বিদ্যুৎ বিল কম- বেশি আসার ওপর তাদের কোন হাত নেই বললেও গ্রাহকরা মানছেন না তাদের কোন কথা। বিকাশ – নগদের প্রতিনিধি হিসেবে তারা শুধু বিল নিচ্ছেন- এমন বললে গ্রাহকেরা আরো বেশি ক্ষিপ্ত হচ্ছেন।
হতদরিদ্র বিধবা আইনুন নাহার বলেন- তার বাসায় টিভি ফ্রিজ, ফ্যান কিছুই নেই। শুধু রাতের বেলায় একটি এলইডি বাতি জ্বলে। তাও এমাসে তার ৩০০ টাকা বিল এসেছে। অথচ গতমাসে এসেছে মাত্র ৮৩ টাকা। বৃদ্ধা নারী এ প্রতিনিধিকে বলেন, বাবা আমি এত টাকা বিল ক্যামনে দিমু? মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশের প্রতিনিধি লোকমান কাজী বলেন, এ মাসে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসায় গ্রাহকেরা আমাদের সাথে নানা বাজে ব্যবহার করে। বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগের কথা বললে আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তাদের কাউকে বুঝানো যায়, কাউকে বুঝানো যায়না। আমরা আছি একটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে।
এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের চরফ্যাশন জোনাল অফিসের ডিজিএম মিজানুর রহমান জানান, গত জুলাই মাসের ০১ তারিখ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জাররা কর্মবিরতি পালন করেছিল যার ফলে বাকী কয়েকদিনে কাজ দ্রুত করতে গিয়ে পুরো এলাকার বিদ্যুত মিটারের ব্যবহৃত সঠিক ইউনিট লেখায় কিছুটা এদিক সেদিক হতে পারে। অথবা মিটারে সমস্যা থেকেও